মো.শাহাদত হোছাইন।।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে হত্যার ঘটনায় ঘটিত তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিজানুর রহমান কমিটির অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে এক সমন্বয় সভার মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেন।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে কক্সবাজার সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই কমিটিতে রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজারের এরিয়া কমান্ডারের মনোনিত একজন প্রতিনিধি সদস্য এবং পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে সদস্য হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শকের মনোনিত অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ জাকির হোসেন।
টেকনাফ থানার এএসআই নন্দদুলাল রক্ষিতের দায়ের করা মামলায় সিনহার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম ওরফে সিফাতকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। সিফাতের অপরাধ, সিনহা ও সিফাত যোগসাজশে সরকারি কাজে বাধা, হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্র তাক করা ও মৃত্যু ঘটানো। এর বাইরেও সিনহা মো. রাশেদ খান ও সাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা করে পুলিশ।
এজাহারে নন্দদুলাল রক্ষিত বলেছেন, টেকনাফ মডেল থানা এলাকার বাহারছড়া পাহাড়ি এলাকা। এ এলাকায় আগে থেকেই ডাকাত দলের সক্রিয় অবস্থান ছিল। এ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাকসহ অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার হয়। বিভিন্ন সময় সেনাবাহিনী সহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পোশাক পরে বাড়িঘরে লুটপাট করা হয়েছে বলে ব্যাপক জনশ্রুতি আছে। সিনহার পরনে সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরেন এমন পোশাক থাকায় লোকজন তাকে ডাকাত ভেবে ধাওয়া দেন।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ঘটনাকালীন নিরস্ত্র অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার বুকে গুলি চালান এসআই লিয়াকত। যা পুলিশের এজহারে উল্লেখিত তথ্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এছাড়া নিহত সিনহার ময়নাতদন্ত পরবর্তী প্রাথমিক যে সকল তথ্য জানা গেছে সেখানেও আড়ালে রয়েছে তদন্ত স্বার্থে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়। যার মধ্যে নিহত সিনহার হাতের কব্জিতে হাতকড়া পড়ানোর আলামত পাওয়ার কথা গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।